চলুন দেখি এই প্রজ্ঞাপনের ফলে কি প্রভাব পড়বে? এটা কতটা যুক্তিযুক্ত? তাহলে এখন পণ্য চালানের প্রোফরমা ইনভয়েস কিভাবে ডিক্লিয়ারেশন থাকতে হবে? কমার্শিয়াল ইনভয়েজ ও প্যাকিংলিস্ট কি প্রতিটি আইটেম ধরে ধরে নেট ওয়েট দিতে হবে? এতে কি সত্যিই ট্রেড ফ্যাসিলেশন হবে? আমি চেষ্টা করেছি এই প্রজ্ঞাপনের ফলে কি হতে পারে তার একটা নমুনা তৈরি করতে, যা নিচে দেয়া হলোঃ
উল্লেখ্য এই প্রজ্ঞাপনে ক্যারেট, প্যালেট ছাড় দেয়া হয়েছে এবং এরপক্ষে যুক্তি হলো এগুলো কঞ্জ্যুমারের কাছে পৌছায় না। খুব ভালো যুক্তি।
এবার আবার সসের আইটেমে ফিরে যাই, সস কিন্তু কঞ্জ্যুমারের কাছে যাবে। এই সসকে কেন এর উতপাদন উপাদান হিসাবে আলাদা করা হবে না? আমরা জানি সস প্রস্তুতে বিভিন উপাদান যেমন - টমেটো পেস্ট, সাইট্রিক এসিড, ফুড কালার, চিনি, লবণ, স্টার্চ ইত্যাদি ব্যাবহার হয়। তাহলে কেন সসের এগুলোর আলাদা এইচএস কোডে শুল্কায়ন হবে না? নাকি এটা পরবর্তী ধাপে নতুন প্রজ্ঞাপন আসবে?
কি কি যুক্তি থাকতে পারে এই নতুন প্রজ্ঞাপনের পিছনে?
এর ফলে দেশের উৎপাদিত পণ্যের বাজারে কম্পিটিশন বাড়বে এবং দেশীয় কোম্পানি বেনিফিটেড হবে। আমাদানি শিল্পকে নিরুৎসাহিত করতে এটা হতে পারে। এর ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে প্লাণ্ট স্টাব্লিশের চিন্তা করতে পারে। এর ফলে দেশের প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি গুলোর উন্নয়ন হবে। আমাদানিকারক গন পণ্য বাল্ক আকারে প্লাস্টিক বস্তা বা ড্রামে করে পণ্য আমদানি করবে এবং দেশে প্যাকিং এর ব্যাবস্থা করবে। তাতে কি পণ্যের গুনগত মান ঠিক থাকবে? দেখা যাক কি ঘটে? কি আর হবে মর্ডান ট্রেডে সুপার শপ গুলোর আরেক ধাপ দাম বাড়বে।
এই সম্পর্কিত একটা পেপার নিউজ দেয়া হলোঃ
এখানে লিখা সকল কথা একান্ত আমার নিজের। মানুষ মাত্রই ভিন্ন চিন্তা থাকতেই পারে, আপনি আপনারটা জানাতে পারেন। আমারটা ভালো না লাগলে ইগনোর করেন। কাউকে হেও করা বা দেশের আইনকে কটাক্ষ/অমান্য করা বা এনবি আর এর বিপক্ষে বলার কোন ইচ্ছাই আমার নেই। আমি সামান্য জ্ঞান সম্পন্ন একজন সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার মাত্র।
এটার জন্য বিপদে পড়বে ট্রেডিং কোম্পানিগুলো যারা বিদেশ থেকে নিচের পণ্যগুলি আমদানি করে।
Read my next article on the same issue:
0 Comments