এইচএস classification (শ্রেণিবিন্যাস) অত্যন্ত কঠিন। বেশ কিছু সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতি ৩টি এন্ট্রি লাইনের মধ্যে ১টি ভুল classification (শ্রেণিবিন্যাস) করা হয়েছে।
ত্রুটির এই উচ্চ হার দুটি প্রধান কারণে হয়
প্রথমত, এইচএস নামকরণ এবং শ্রেণিবিন্যাস
প্রক্রিয়া পরিচালনাকারী নিয়মগুলি (i.e. the General Rules of Interpretation and HS Legal
Notes) অত্যন্ত জটিল। সাধারণত জাতীয় ট্যারিফ শিডিউল ২০০ পৃষ্ঠা কম-বেশি
এবং, এটা ব্যাবহার করে লক্ষ লক্ষ
পণ্য থিওরিটিক্যালি (তাত্ত্বিকভাবে) ক্লাসিফাই করা যায়, এর মধ্যে শুধুমাত্র কয়েক হাজারের নামকরণে স্পষ্টভাবে (described in the
nomenclature) বর্ণনা করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, HS নামকরণে (HS nomenclature) পণ্যগুলিকে একরকম বর্ণনা করা হয়, এবং সেগুলিকে বাণিজ্যিক পরিভাষায় (Commercial
Name/Description) যে নামে প্রকাশ করা হয় তার মধ্যে একটি গভীর
ব্যবধান (a profound gap) রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, একটি “electric toothbrush” "বৈদ্যুতিক টুথব্রাশ" সঠিকভাবে Classify করতে
গিয়ে আপনি যা পাবেন সেটি হল - “Electro-mechanical domestic appliances, with
self-contained electric motor, other than vacuum cleaners of heading 85.08. Other.”
এবার নিশ্চয় অনুমান করতে
পারছেন ক্লাসিফিকেশনটা কতটা জটিল। এবার আপনি খুবই কমন একটি পণ্য ল্যাপটপ এর ক্লাসিফিকেশন
করতে গিয়ে ‘ট্যারিফ শিডিউলে” যা পাবেন সেটা হচ্ছে
এই তালিকায় ৮৪৭১.৩০.০০ এটি হলো ল্যাপটপ, ৮৪৭১.৪৯.০০ হলো ডেস্কটপ কম্পিউটার, ৮৪৭১.৫০.০০ হলো কম্পিউটার সার্ভার এর শ্রেণীবিন্যাস। এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে পণ্যের এইচ এস কোড নির্ণয় বা “ক্লাসিফিকেশন অব গুডস” ব্যাপারটা খুব সহজ কিছু না। এটার জন্য আপনাকে কিছু নির্দেশনা বা গাইডলাইন ফলো করতে হবে। এ বিষয়ে World Customs Organization (WCO) এর গাইডলাইন ও নির্দেশনা জেনেই কেবল সঠিক ক্লাফিকেশন সম্ভব।
0 Comments