অন চেসিস ডেলিভারি প্রক্রিয়া
এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কয়েকটি ধাপ এবং কিছু নিয়ম অনুসরণ করা জরুরী।
প্রথমত, আমদানি/রপ্তানিকারক কাস্টমস ডেপুটি/এসিস্ট্যান্ট কমিশনার (স্টাফ) বরাবর পাঁচশত (৫০০) টাকা মুল্যের ষ্ট্যাম্প পেপারে রিস্ক বন্ড দাখিল করবেন এবং অনুমতি গ্রহণ করবেন। এই রিস্ক বন্ডের মুল বক্তব্য হচ্ছে আমদানি/রপ্তানিকারকগণ কন্টেইনার খালি হবার পর সেটা যথাস্থানে ফেরত প্রদান করার অঙ্গীকার এবং যদি কন্টেইনার ফেরত প্রদান না করা হয় সেক্ষেত্রে কন্টেইনারের শুল্ক হিসাবে যে ট্যাক্স ধার্য করা হবে অথাবা এর সাথে সম্পর্কিত কোন রাজস্ব বা পোর্ট অথোরিটির কোন ফিস প্রযেজ্য হলে সেটা প্রদান করতে বাধ্য থাকিবে। এই রিস্কবন্ডের মুল্য প্রতিটি কন্টেইনারের জন্য ১৬০,০০০ (এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা) হিসাবে ধার্য করা হয় (২০১৯ সাল প্রাপ্ত ডাটা থেকে লেখা, নতুন কোন সার্কুলার দ্বারা সরকারি আইনানুযায়ী এটা পরিবর্তিত হতে পারে)। [নমুনা সংযুক্তি-১]
· আমদানি/রপ্তানিকারক কোম্পানির লেটার হেড প্যাডে শিপিং লাইন বরাবর আবেদন করবেন। এই আবেদনে কন্টেইনার তার নিজস্ব ফ্যাক্টরি/প্লান্ট/সাইটে নেয়ার কারণ এবং প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করবেন। [নমুনা সংযুক্তি-২]
· শিপিং লাইন বরাবর তিনশত (৩০০) টাকা মুল্যের ষ্ট্যাম্প পেপারে (কন্টেইনার ফেরতের) অঙ্গীকারনামা দাখিল। এই অঙ্গীকারনামার মুল বক্তব্য হচ্ছে আমদানি/রপ্তানিকারকগণ কন্টেইনার খালি হবার পর সেটা যথাস্থানে ফেরত প্রদান করার অঙ্গীকার এবং যদি কন্টেইনার ফেরত প্রদান না করা হয় বা কন্টেইনারের কোন রুপ ক্ষতি সেক্ষেত্রে কন্টেইনারের দাম আমদানি/রপ্তানীকারক প্রদান করতে বাধ্য থাকিবে এবং কন্টেইনারের মুল্য শিপিং লাইন কর্তৃক নির্ধারিত হয় এবং শিপিং কোম্পানি ভেদে এটা ভিন্ন হয়। [নমুনা সংযুক্তি-৩]
· শিপিং লাইনের নামে
কন্টেইনার প্রতি বিশ হাজার (২০,০০০) টাকার পে-ওর্ডার/ক্যাশ জামানত হিসাবে প্রদান।
ঊল্লেখ্য এই টাকা ফেরতযোগ্য বা সমন্বয়যোগ্য। আমদানিকারক/রপ্তানীকারক যদি ফ্রি
টাইমের মধ্যে কন্টেইনার ফেরত দিয়ে দেন তাহলে উক্ত জামানতের টাকা/পে-ওর্ডার শিপিং
লাইন ফেরত প্রদান করবে। আর ডিটেশন চার্জ প্রযেজ্য হলে উক্ত জামানতের টাকা থেকে
কেটে বাকি টাকা ফেরত দিবে আর জামানতের থেকে বেশি ডিটেনশন হলে জামানতের (অর্থাৎ
২০০০০) অতিরিক্ত টাকা প্রদান করবেন।
নমুনা সংযুক্তি-১ |
নমুনা সংযুক্তি-২ |
নমুনা সংযুক্তি-৩ |
গুরুত্বপুর্ণ তথ্যঃ
এই সুবিধা মুলত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান
বা কোন প্রকল্পের আওতাধীন আমাদানির ক্ষেত্রে (কিছু কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে) প্রযেজ্য।
কমার্শিয়াল আমদানিকারকের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সচরাচর অন চেসিস ডেলিভারির অনুমতি প্রধান করেন
না। তারপর স্পেশাল কোন ওর্ডার/আইনের আওতায় কাস্টমস যে কোন সিদ্ধান্ত দেবার ক্ষমতা
রাখে।
উল্লেখিত এই সকল ডকুমেন্ট মুলত সি
এন্ড এফ এজেন্ট তৈরি করে থাকে। আপনি সম্পুর্ণ ডকুমেন্ট নমুনা দেখতে চাইলে আপনার সি
এন্ড এফ এজেন্ট বলবেন। ভবিষতে আমি ‘কমার্শিয়াল ডকুমেন্টাশন’ নামে একটা ড্রাইভ ওপেন করার পরিকল্পনা আছে, যেখানে আপনি পেতে পারেন কমার্শিয়াল
ব্যাংকি সম্পর্কিত লেটার, কাস্টমস সম্পর্কিত লেটার, বিভিন্ন ধরনে
চুক্তিনামা/এগ্রিমেন্ট, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আবেদনপত্রের স্যাম্পল লেটার, আরো কত
কি? ধন্যবাদ।
1 Comments
better go ahead ,I shall be your regular viewer.
ReplyDelete