Every Problem Has A Solution: Episode-1

Every Problem Has A Solution: Episode-1 


আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কর্মক্ষেত্রে হঠাত এমন কিছু প্রবলেম এসে হাজির হয় যেগুলোর সমাধান কোন কিতাব বা আইনে উল্লেখ থাকে না। সেদিন ব্যাংককে একটা টিটি এপ্লিকেশন করার পর ব্যাংক থেকে নিচের মেইলটা আসলো, যা আগে কখনো শুনিনি বা দেখিনি। মেইলটা ছিলঃ
 
 
ব্যাংক আমার এপ্লিকেশনের বিপরীতে আমাকে একটা টিটি ড্রাফট শেয়ার করেছে, কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে - বেনিফিসিয়ারি/এক্সপোর্টারের নাম ও ঠিকানা এত বড় যে TT SWIFT এর MT103 format field যে কয়টা letter (অক্ষর) ধরে তার থেকে বেনিফিসিয়ারি নাম ও ঠিকানাতে বেশি অক্ষর রয়েছ এবং ব্যাংক আমার কাছে পরামর্শ চাচ্ছে। আমি কিছুক্ষণের জন্য টেনশনে পরে গেলাম। এমন তো আগে কখনো শুনিনি। কি হতে পারে? আমাকে আজকেই এই টিটি ট্রান্সফার করতে হবে, না হলে ডেলিভারি লীড টাইম ম্যাচ করা যাবে না। ড্রাফট কপিটা ছিল এমনঃ

লাল বক্স চিহ্নিত এফ ৫৯ঃ এই ফিল্ড বেনিফিসিয়ারির নাম ও ঠিকানা লিখার জন্য বরাদ্দ এবং এখানে সর্বোচ্চ  ১৪০ টা অক্ষর লিখা সম্ভব। শিওর হবার জন্য SWIFT Standard Guideline Book চেক করলাম কি আছে সেখানে?  সেখানে রয়েছে (4*35x) অর্থাৎ ১৪০ লেটার/অক্ষর। ভাবতে ভাবতে ব্যাংকে নিচের ইমেলটা পাঠালাম। আমি শিওর ছিলাম না তবে এলসি এর ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে এমন দেখা যায় যে, এক ফিল্ডের ক্লজ অন্য ফিল্ডের ক্লজের রেফারেন্স দেয়া থাকে।   
 

হ্যাঁ, আমার EMAIL পেয়ে ব্যাংক Confirm করলো It's POSSIBLE। শেষ পর্যন্ত FTT  যেভাবে হয়েছিল তার নমুনা দেয়া হলো। 

FTT সম্পর্কিত আরেকটি গুরুত্বপুর্ণ তথ্য দেই, তা হলো - বাংলাদেশ ব্যাংকের ই-এলসি ডাটাবেজে TT ইনফরমাশন দেয়ার জন্য (শুধুমাত্র টিটি'র ক্ষেত্রে) COUNTRY OF ORIGIN দেখানোর জন্য একটি মাত্র Field রয়েছে, যেখানে একাধিক কান্ট্রি অব অরিজিন দেখানোর সুযোগ নেই। এটা যদি হয়ে থাকে সেটা অবশ্যই অনেক বড় LIMITATION এবং এটা পরিবর্তন করা উচিত। উল্লেখ্য, COUNTRY OF ORIGIN সম্পর্কিত এই তথ্য আমাকে ব্যাংক শেয়ার করেছে এবং আমি নিজে এই সমস্যা ফেস করেছি। 

Post a Comment

1 Comments