রকমারি কাস্টমস জালিয়াতি !!!



কাস্টমস জালিয়াতি ব্যাপারটা হচ্ছে - আইনভংগ করে শুল্ক ফাঁকি এবং চোরাচালানের মাধ্যমে নিষিদ্ধ পণ্যের আমদানি করা। সারা বিশ্বে আমদানিকারকদের মধ্যে এধরনের প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। এ সম্পর্কিত একটা গবেষনায় দেখা যায় -
"20% of the population are honest, 20% are dishonest, but 60% would be dishonest - if given the opportunity."
অর্থাৎ সুযোগ পেলে বেশির ভাগ মানুষই অসৎ হয়ে পরে। তবে জালিয়াতি এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য আছে। জালিয়াতি হলো - ইচ্ছাকৃত ভুল। আর ভুল তো মানুষের হতেই পারে। আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তিন ধরনের জালিয়াতি হয়ে থাকে-
১। পণ্যের অরিজিন (Origin)
২। পণ্যের মুল্য নির্ধারণ (Valuation)
৩। পণ্যের বিবরণ (Description)

১। পণ্যের অরিজিন (Origin):
আমদানি পর্যায়ে আমদানিকৃত পণ্যের উৎপাদন দেশ নিয়ে কিছু জালিয়াতি হয়ে থাকে। কারণ আমাদের দেশের কাস্টম আইনে কিছু স্পেশাল প্রজ্ঞাপণ রয়েছে। যেমন সার্কভুক্ত দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কায়ানে ছাড় দেয়া থাকে। সাফটা চুক্তি বা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তির কারণে ছাড় দেয়া থাকে। ট্যারিফ ভ্যালুর ক্ষেত্রেও কিছু কিছু পণ্যের শুল্কায়ন আলাদা হয়ে। নিচের উদাহরনে বিস্তারি পরিষ্কার করে বর্ননা দেয়া হলো।


কিছু আমদানিকারকগন এই অরিজিন জালিয়াতির মাধ্যমে ইউরোপিয়ান পণ্য ঘুরিয়ে সিংগাপুর বা চীন (এশিয়া) থেকে কান্ট্রি অব অরিজিন দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে।

২। পণ্যের মুল্য নির্ধারণ (Valuation):
কিছু আমদানিকারক পণ্যের ক্রয়মুল্য কম দেখিয়ে পণ্যের শুল্কায়ন ফাকির মাধ্যমে ব্যাবসা পরিচালনা করছে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় ঘোষনাকৃত মুল্যের চেয়ে এডজাস্টমেন্টের মাধ্যমে শুল্কায়ন সম্পন্ন করে। এক্ষেত্রে কাস্টম পুর্বে আমদানিকৃত একই পণ্যের তিন মাসের ডাটাবেজ ভ্যালু এর সাথে সামঞ্জস্য করে শুল্কায়ন করে। আর এজাতীয় জালিয়াতি রোধ করতে কিছু পণ্যের মিনিমাম ট্যারিফ ভ্যালু চালু করেছে। কাস্টমের একটি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে, যে বিভাগটির ক্ষমতা রয়েছে তাদের কাছে সন্দেহ হলে যে কোন পণ্য চালান তারা পুনঃ শুল্কায়ন করতে পারে। এই বিভাগটির নাম " শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা কমিশনারেট"।


৩। পণ্যের বিবরণ (Description):
কিছু আমদানিকারক পণ্যের মিথ্যা বিরবণ ঘোষণা করে কম শুল্কের পণ্য দেখিয়ে শুল্কায়ন ফাকির মাধ্যমে ব্যাবসা পরিচালনা করে চলেছে। এক্ষেত্রে কাস্টমস, সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং আমদানিকারকের বোঝাপরার মাধ্যমে ঘটে থাকে। যেমন ধরি - আমদানিকারক আমদানি করেছে "বেকারির উৎপাদন কাজের ব্যাবহারের কাঁচামাল" কিন্তু ঘোষণা করেছে "পল্ট্রি ফীড" এক্ষেত্রে পল্ট্রিফীডের শুল্ক % কম হওয়ায় কম শুল্কপ্রদান করে পণ্য খালাস হয়ে থাকে।    

এছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে নতুন নতুন পন্থায় কাস্টমস জালিয়াতি সংঘটিত হয়। সেগুলো নিচের দেয়া হলো।

(a) Use of False Documentation.
(b) Collusion & Co-Operation. (যোগ-সাযেশ)
(c) Independent Action.
(d) Forged Documents. (জাল ডকুমেন্টস)
(e) Ffictitious Documentation & ‘Ghost’ shipment. (কল্পিত এবং ভুতরে শিপমেন্ট)
(f) Fake Official Stamps.
(g) Fabricated Documents.
(h) Altered or Partially Faked.
(i) Customs Only Documents. (Sample Shipment)

Post a Comment

0 Comments